ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন ,আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
বাংলার জমিন ডেস্ক :
আপলোড সময় :
০৫-০৯-২০২৩ ০৫:৫৯:৫১ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০৫-০৯-২০২৩ ০৫:৫৯:৫১ অপরাহ্ন
ফাইল ছবি :
ঢাকা: মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে বিবৃতি দিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি (এমরান আহমেদ ভূঁইয়া) অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা ডিএজি (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল)। তিনি যদি প্রেসের সাথে কথা বলেন, তাহলে তাকে হয় পদত্যাগ করতে হবে অথবা অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুমতি নিয়ে কথা বলতে হবে। তিনি DAG থেকে তা করেননি। তিনি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি দেখব। এর আগে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, প্রফেসর ড. ইউনুস। যে তাকে বিচারিক হয়রানির শিকার করা হচ্ছে। অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে বিবৃতিতে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের সকল কর্মচারীকে বিবৃতিতে স্বাক্ষর করার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমি এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলের অ্যাটর্নি জেনারেল দেশের আইন সংস্কার করছেন; বিচারের বিষয়ে তিনি তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। বিবৃতিতে স্বাক্ষর না করা একই। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, আমি ১৬০ জন নোবেল বিজয়ী এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের বক্তব্যের সঙ্গে একমত। আমি মনে করি, অধ্যাপক ড. ইউনূস একজন সম্মানিত মানুষ। তার মানহানি হচ্ছে এবং এটা বিচারিক হয়রানি। এদিকে মঙ্গলবার তার কার্যালয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন বলেন, কোনো পাল্টা বিবৃতি প্রস্তুত করা হয়নি এবং আইন কর্মকর্তাদেরও স্বাক্ষর করতে বলা হয়নি। তার মতে, ড. ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইমরান আহমেদ ভূঁইয়া, যিনি ইউনূসের বিরুদ্ধে বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেছিলেন, তার অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমি তাকে সই করতে বলিনি। আমি কোনো আইন কর্মকর্তাকে বলি না যে আপনি এই বা ওটাতে স্বাক্ষর করুন। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে আমাদের অফিস থেকে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। সত্যতা যাচাই না করেই তিনি সাংবাদিকদের সামনে এসে বলেন? এর উদ্দেশ্য কি ছিল? সে নিশ্চয়ই অন্য কোনো উদ্দেশ্যে এখানে করেছে। হয়তো কাউকে খুশি করতেই এমনটা করেছেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Jamin
কমেন্ট বক্স